বাংলাদেশে বর্জ্য মানেই সমস্যা—এই ধারণা বদলে যাচ্ছে। এখন বর্জ্য হচ্ছে সম্ভাবনার সম্পদ। Waste-to-Wealth কনসেপ্টের মাধ্যমে প্লাস্টিক, জৈব এবং ই-ওয়েস্ট পুনর্ব্যবহার করে যেমন পরিবেশ রক্ষা করা যায়, তেমনি সৃষ্টি করা যায় নতুন কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।
বাংলাদেশে বছরে ৮ লাখ টনের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হয় (বিশ্ব ব্যাংক, ২০২৩)
এর মধ্যে মাত্র ৩৬% রিসাইকেল হয়, তাও মূলত অনানুষ্ঠানিক খাতে
সম্ভাব্য বাজার মূল্য প্রায় ৪,৫০০ কোটি টাকা
প্রযুক্তিনির্ভর রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট ও ডিজিটাল ট্রেসেবিলিটি প্ল্যাটফর্মের (যেমন: nabayon.com) মাধ্যমে এই খাতকে আরও স্বচ্ছ ও লাভজনক করা সম্ভব
ঢাকা শহরের বর্জ্যের ৭০% এর বেশি জৈব, যেগুলো উপযুক্ত ব্যবস্থাপনায় ব্যবহার করা যায় কম্পোস্ট বা বায়োগ্যাস উৎপাদনে
বাংলাদেশে গৃহস্থালি ও হোটেল-রেস্তোরাঁর জৈব বর্জ্য প্রতিদিন গড়ে ৩,০০০ টন
সঠিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও কমিউনিটি কম্পোস্টিং মডেল চালু করলে কৃষিখাতে টেকসই ও নিরাপদ সার উৎপাদন করা সম্ভব
প্রতি বছর দেশে ৩ লাখ টনের বেশি ই-ওয়েস্ট উৎপন্ন হয় (BANGLACERT, ২০২3)
ব্যবহৃত মোবাইল, ল্যাপটপ, টিভি, রেফ্রিজারেটরসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ অযথা পড়ে থাকলে তা হয় পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক
E-Waste রিসাইক্লিং ও রিকভারি মডেল চালু করে রেয়ার আর্থ মেটাল পুনরুদ্ধার ও নতুন প্রযুক্তি পণ্য তৈরির সুযোগ রয়েছে
Waste-to-Wealth খাত একটি Green Economy Investment Zone
সরকারি নীতিতে রয়েছে EPR (Extended Producer Responsibility) ও 3R Strategy-র সুবিধা
প্রাইভেট ও স্টার্টআপ পর্যায়ে স্মার্ট রিসাইক্লিং প্রযুক্তি ও ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস-এ রয়েছে উচ্চ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা
প্লাস্টিক, জৈব ও ই-ওয়েস্ট—এই তিনটি খাতকে কেন্দ্র করে Waste-to-Wealth মডেল বাংলাদেশে পরিবেশগত সুরক্ষা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও টেকসই অর্থনীতির সম্ভাবনা তৈরি করছে। এখন সময় এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর।
আপনি কি তৈরি এই সবুজ বিপ্লবের অংশ হতে?
ভিজিট করুন: www.nabayon.com
জানুন আরও: www.brtlcenter.com